Upama Afreen Kheya

আমার নাজারেজে এসো, মেসাইয়া!

Writter






আমাকে খুলে দেই
ক্রমশ হাওয়ার মতো উত্তল কম্পনে,

 তোমাকে লীনতায় ডাকি হে--

 বিদ্যুৎ-আঁখি ও পাতাঝরা পথের দেবী কি

 সব অঙ্কনে লতানো কৃষ্ণ-পদতল,

 ভ্রমণদীপ্ত অতীত হতে চমক এনেছে

 বহু অতি-উজ্জ্বল নক্ষত্রঝরা সন্ধ্যায়?

 
আকাশ দ্যাখো
আমায় গাঢ় রক্তে মেখেছে;
পরিহাস ডুবে গেছে ম্লানতার বজ্রনাদে,
অঝোর উড়ন্ত স্নায়ু জল ফেলে ঘোষণা করেছে শরীর,
জটিল কারুকার্যময় সুভেদী বুক স্নান করে--
আত্মার আলোকিত ছায়ার অন্তরালে
একান্ত গন্তব্য তার।

শ্রবণ করো--
জলে প্রোথিত অগ্নি আমার!
নীলায়ন হতে ছুঁড়ে দেওয়া,
সিন্দূরোজ্জ্বল মুখমন্ডলে সুশোভিত গৃহীত শক্তি
সূর্যের সবটুকু নিঃশ্বাস শুষে নিয়েছে,
যেখানে শায়িত হও বর্ণোৎক্ষিপ্ত স্বপ্ন রচনায়,
প্রতি মুহূর্ত
প্রতি সৃষ্টির পরবর্তী জীবনের কথা।
যে শয়নে বাজাও গৃহালেখ্য কারাগার সম,
কিভাবে দীর্ণ করে
অকম্পিত মৃত্যুর বুক জাগাও
গতিশীল পাথরধূসর সময়ের অতিক্ষুদ্র বালুকণায়?

বল হে প্রলাপহীন ভারসাম্যের সখা,
সবুজ অংশ হতে উত্থিত মধ্য অঙ্গুলী তোমার কতরূপে সুরেলা দেবতার অর্ধপ্রস্ফুটিত; অক্ষিগোলক ব্যখ্যা করেছে
আলো আর আলোকিত সকল বেদনায়?
এই বুঝি সমুহ সুরের গর্ভবেদনা
যা তুমি শোনাবে বর্তমানে!

আজ রাতে ফেলে আসা
সমগীতান্বিত ধ্বনির অবশেষটুকু
অশ্রুত দৃষ্টি সম্মুখে,
মাতৃযত্নে গোপন করেছি
নিরন্তর অশ্রুসজল মমতার মতো।

 
প্রাপ্ত হয়েছি
রাত্রিনিক্ষিপ্ত যত মায়া,
সোনালী বর্ণময় মায়াবী আচ্ছন্নতা,
তা হতে ক্রমশ অস্তিত্ব জড়িয়ে রাখা
চন্দ্রময় সকল অর্থ - গচ্ছিত রেখেছি--
যা তোমাতে বর্ণিত সারল্যে মুখর
সেই এক শিশু প্রেমিকা।
হীরণ্ময় মুকুটে সজ্জিত একমাত্র সন্তান
আনন্দহীন মানুষের আয়ুর পরিধি যতটুকু,
বিধৃত আমার যত সৌরভ, হে অবয়বহীন!

© Poetry.com