সঙ্গম প্রেম

ঝড়ের মত উন্মাদ দরজার কপাটে ঋজু দাগ,
দাগ আর দাগ ফেলে চয়ন করেছি হাঁটা বল্লমে
সুচাগ্র তল ফেটে মাথার তালুতে লাগে বিষ-
আহা বাষ্পের সবটুকু!

রক্ত, সে কম্পন টের পেয়েছে কী?
দেহমধ্যে অতল শ্রবণে ব্যাপৃত
অবনত মুখমন্ডলে আমার সময় দ্বারা নির্দেশিত,
কুঞ্চিত সমুদ্র খুলেছে উত্তল ভাবনার জল
তবু ফোঁটা ফোঁটা প্রশান্তি ঝরে পড়ছে...
তারাও দেখুক
অবহিত মানুষের মুখ-
একা একা, লাল অঙ্গার দানবীয় দুই চোখ মেলে
ছুঁড়ে ফেলছে আকাশ তলহীন শূন্যে!

যেখানে নীল-উদ্ভব মানুষের চিন্তাসমূহ রাখা আছে:
জগৎ এক বক্র কিংবা সরলতা,
মরুবালুকার অপর পৃষ্ঠের জলবায়ু
ধরেছে বক্ষে;
ব্যথাহীন শয়নে আপেল
সুগোল বাতাসে প্রক্ষেপ করছে ধ্বনি
অনঙ্গ চাঁদের মত!

কীভাবে তৈরী হয়েছো প্রেম!
এক হতে বহু রজনীতে,
অতুজ্জল মৃদু সুর তুলে, জমাটবদ্ধ আত্মায় পৃথিবীর!     

রৌদ্রেশ্বরী নারী, কৃষ্ণা নারী আমি

সেজেছি তোমারই জীবন্ত গায়ের রঙ্গে,
তোমারই দেহ প্রতিমার সৌন্দর্যে!

তোমারই ছায়ায় আমি বেড়ে উঠেছি,
তোমারই হাতের কোমলতা

ঢেকে দিয়েছে আমার চোখ

আর দ্যাখো গ্রীষ্মের আর মধ্যাহ্নের হৃদয়ে আমি তোমাকেই খুঁজে পাই

প্রত্যাশার স্বপ্নভূমি, ওপর থেকে আরও ওপরে তাপদগ্ধ গ্রীবা

এবং আমার সৌন্দর্যে তোমার হৃদয়ে নিয়ে আসে বজ্রের দাহন,
যেন বা ঈগলের বিদ্যুৎচমক...